রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

বোয়ালমারী পৌর আ.লীগের আহ্বায়ক পৌরমেয়র 

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

বোয়ালমারী পৌর আ.লীগের আহ্বায়ক পৌরমেয়র 

বাংলাদেশ আ.লীগ ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর শাখার নবগটিত আহ্বায়ক কমিটি দীর্ঘ ২২ বছর পর অনুমোদন দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ। 

গত সোমবার রাতে বোয়ালমারী প্রথম শ্রেণির পৌরমেয়র মো. সেলিম রেজা লিপন মিয়াকে আহ্বায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা মো. আলী আকবর আলীকে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও এমএ মতিনকে ২ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করে মোট ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। 

গত সোমবার রাতে ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে আহ্বায়ক মো. সেলিম রেজা লিপন ও ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর আলী উভয় পূর্বের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

 জানা যায়, গত ২০০২ সালে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বোয়ালমারী তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভার আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন তৎকালীন বোয়ালমারী উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মরহুম তফসীর মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা আ.লীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন। 

এরপর ২০১৫ সালে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণিতে অন্তর্ভূক্ত হয়। দলীয় নিয়ম অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির যেকোন পৌর কমিটির অনুমোদন দেন জেলা কমিটি। বোয়ালমারী পৌর আ.লীগের মেয়াদ দীর্ঘ ২২ বছর চলে গেলোও আর কোন সম্মেলন হতে দেখা যায়নি। 

সদ্য সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আলীম মোল্যা দীর্ঘদিন অসুস্থ্য অবস্থায় শয্যাশয়ী। আর সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু মিয়াসহ ৮-১০ জন নেতা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। এ কারণে সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বোয়ালমারী পৌর আ.লীগকে সুসংগঠিত ও দলের গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য নতুন ২৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ।

নবগঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতির ছেলে মাসুদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মো. জমির আলী, সংরক্ষিত আসনের পৌর কাউন্সিলর সৈয়দা মাসুদা আক্তার রুমা, মো. বক্কার মাতুব্বর, মো. তৈয়ব বিশ্বাস, মো. শাহ জামাল চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাহাদুল আক্তার তপন, সরকারি কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক এজিএস মো. ওবায়দুর রহমান মৃধা প্রমুখ।

টিএইচ